আশার গল্পই শোনালেন দুই রাষ্ট্রনেতা
হোয়াইট হাউসের বাইরে একটি লোহার বেড়া। তার সামনে দু’জনেই গিয়ে দাঁড়িয়েছেন এক সময়ে। দু’জনের কেউই ভাবেননি এক সময়ে হোয়াইট হাউসেই দেখা হবে তাঁদের। দুই শক্তিশালী গণতন্ত্রের প্রধান হিসেবে।
হোয়াইট হাউসের বাইরে একটি লোহার বেড়া। তার সামনে দু’জনেই গিয়ে দাঁড়িয়েছেন এক সময়ে। দু’জনের কেউই ভাবেননি এক সময়ে হোয়াইট হাউসেই দেখা হবে তাঁদের। দুই শক্তিশালী গণতন্ত্রের প্রধান হিসেবে।
এই বছর পদ্ম সম্মান দেওয়া হবে যে ব্যক্তিদের, তার প্রাথমিক তালিকা আজ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
য়াদিল্লির বিমান ধরার আগে আজ পাকিস্তানের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে তাঁর আসন্ন সফরের সুরটি বেঁধে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
বিজেপিতে যোগ দিলেন দিল্লির প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার এবং অণ্ণা হজারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কিরণ বেদী। বৃহস্পতিবার বিজেপি-র সভাপতি অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি, হর্ষ বর্ধনের উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
গল্পের পোস্টমাস্টার দাদাবাবু ‘স্বর-অ’, ‘স্বর-আ’ থেকে যুক্তাক্ষর পর্যন্ত শিখিয়েছিলেন গ্রামের রতনকে। এখন গ্রামের মানুষকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া ও জীবনবিমা করিয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে বাস্তবের পোস্টমাস্টারদের। কেন্দ্রীয় সরকার আমজনতার জন্য কী কী প্রকল্প এনেছে, তা জানানোর দায়িত্বও এ বার বর্তাচ্ছে তাঁদের ওপর।
ধরা যাক, বারাণসীর দশাশ্বমেধ ঘাটে বসে নিজের মোবাইলে গঙ্গা আরতির ছবি তুললেন নরেন্দ্র মোদী। তৎক্ষণাৎ তা টুইটারে পোস্ট করে দিলেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে গঙ্গা আরতির ছবি তুলছেন, সেই ছবিটাও আবার তুললেন অনেকে।
বছর শুরুর দিনেই যোজনা ভবনের কর্তাদের ডেকে পাঠিয়ে খবরটা দিলেন সচিব সিন্ধুশ্রী খুল্লর। জানালেন, “মেয়ে হয়েছে! নাম ঠিক হয়েছে নীতি।”প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে দেওয়া প্রথম বক্তৃতাতেই নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, যোজনা কমিশন তুলে দেওয়া হবে। সময়ের চাহিদা মেনে তার জায়গায় তৈরি হবে নতুন প্রতিষ্ঠান।
তাঁর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের জন্য দিদির রাজ্য থেকে দাদাকে দূত বাছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী! নিছকই সরকারি অভিযানে আরও এক তারকা সংযোজন? নাকি এর সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে? বড়দিনে মোদীর চাল এই প্রশ্নই তুলে দিল বাংলার রাজনীতিতে!লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির শক্তি এবং গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেরাদের দলে আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন মোদী। সেই তালিকায় অন্যতম ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক। মোদীর ইচ্ছেতেই সৌরভকে বিজেপির টিকিটে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল লোকসভা ভোটের আগে। কিন্তু সেই সময় সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরভ। এ বার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট যখন এগিয়ে আসছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির লড়াইয়ের পারদ যখন উত্তরোত্তর চড়ছে, সেই সময় মমতার রাজ্যে সৌরভকে কার্যত নিজের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ই বানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী! বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ স্বভাবতই মনে করছেন, সরাসরি রাজনীতি না করেও মোদীর এই চালে রাজ্যে তাঁদের দলের সুবিধাই হল।
শৈশবে চাচার কাছে গল্প শোনার বায়না করতেন ভাইপো। বাবার কাছে অনুযোগ করতেন, চাচা কেন এত দূরে থাকেন? এই দূরত্ব ঘোচানোর খোয়াইশেই বার্লিনের উলান্ড-স্ট্রাসের কাছে হিন্দুস্তান হাউসের রেস্তোরাঁয় বসে মজার গপ্পোগুলি একটি-দু’টি করে লিখে ফেলেছিলেন চাচা সৈয়দ মুজতবা আলি। যা আজও রসিকের কাছে অমর।