আমির খানের অজানা নয়
বলিউডে তার পরিচয় মি: পার্ফেক্টসনিস্ট নামে। গজনি, মঙ্গল পান্ডে, থ্রি ইডিয়টস, রাঙ্গ দে বাসন্তিসহ বিভিন্ন সুপারহিট সিনেমায় দর্শক তাকে দেখেছে বিভিন্ন রূপে। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বলিউডে তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছেন। হ্যাঁ, বলছি বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা আমির খান সম্পর্কে। এ অভিনেতার অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
বলিউডে তার পরিচয় মি: পার্ফেক্টসনিস্ট নামে। গজনি, মঙ্গল পান্ডে, থ্রি ইডিয়টস, রাঙ্গ দে বাসন্তিসহ বিভিন্ন সুপারহিট সিনেমায় দর্শক তাকে দেখেছে বিভিন্ন রূপে। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বলিউডে তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছেন। হ্যাঁ, বলছি বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা আমির খান সম্পর্কে। এ অভিনেতার অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
১. খেলোয়াড় আমির : আমির মূলত অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু অভিনয় ছাড়াও তার রয়েছে আরও একটি গুণ। ভালো ব্যাডমিন্টন খেলেন এ অভিনেতা। বাড়ন্ত বয়সে খেলাধুলার সঙ্গে বেশ যুক্ত ছিলেন আমির। মহারাষ্ট্র টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।
২. গোসল করতে চান না আমির : এ তারকার আরও একটি তথ্য যা জেনে অবাক হবেন সবাই। তথ্যটি হচ্ছে গোসল করতে মোটেও পছন্দ করেন না আমির। গোলাম সিনেমায় তার চরিত্রটির জন্য অনেকদিন গোসল না করে থাকত হয়েছিল। আর সে কারণে নাকি বেজায় খুশি হয়েছিলেন তিনি। তার সহধর্মীনি কিরণ রাও টিভি শো কফি উইথ করণ-এ এসে এ আজব তথ্যটি দেন। ছুটির দিনে বাড়ি থেকে বেড় হতে না হলে নাকি গোসল থেকে বিরত থাকেন অমির।
৩. অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন : ছোটবেলায় প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে বড় হতে হয়েছে তারকাকে। কারণ তার বাবার সিনেমাগুলো তখন খুব একটা ব্যবসা করতে পারছিল না। কিন্তু আমিরের মাথায় চেপেছিল অভিনেতা হওয়ার ভূত। নির্বাক চলচ্চিত্র প্যারানয়িয়াতে নীনা গুপ্তার সঙ্গে অভিনয় করে সিনেমা জগতে পা রাখেন তিনি। তারপর তিনি যোগ দেন অবান্তর নামরে একটি থিয়েটার দলে। হাই স্কুলের পর আর পড়াশোনা হয়নি আমিরের। পড়াশোনা বাদ হওয়ার পর চাচা নাসির হোসাইনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবন পার করে প্রমাণ করেছেন অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিন ভুল করেননি তিনি।
৪. মাদাম তুসোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন : বিশ্বের বড় বড় তারকা থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক তারকার মোমের মূর্তি স্থান পেয়েছে মাদাম তুসো জাদুঘরে। কিন্তু আমির তার মোমের মূর্তি বানানোর প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ অভিনেতা বলেছিলেন, ‘এটি আমার কাছে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। দর্শকরা আমাকে সিনেমাতেই দেখবে। আর আমি একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে থাকতে চাই না। আমি কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এতটুকুই যথেষ্ট।
৫. পছন্দের তারকা গোবিন্দ : বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে রয়েছেন আমির খান। কিন্তু এ তারকার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন কোন তারকারা আপনি কি জানেন? বলিউডে তার পছন্দের অভিনয় শিল্পী হলেন গোবিন্দ। এ অভিনেতার স্যান্ডউইচ সিনেমাটি বেশ কয়েকবার দেখেছেন আমির। অভিনেত্রীদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ওয়াহিদা রহমান এবং গীতা বালি। অন্যদিকে হলিউডে তার পছন্দ লিওনার্দ্যো ডিক্যাপ্রিও এবং ডেনিয়েল ডি লুইসকে।
৬. মোঘলাই খাবার খুব পছন্দের : খাবার ব্যাপারে খুব একটা বাছবিচার নেই এ বলিউড অভিনেতার। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার মোঘলাই খাবার তার খুব পছন্দের। বিরিয়ারি বাদশাহী,শাহী রোগান জোশ তার অন্যতম পছন্দের খাবার। এছাড়া মসলাযুক্ত সাদা ডিমের অমলেট এবং দম তার অনেক পছন্দ। খাবারের বিষয়টি যতই পছন্দ হোক না কেন নিজের শরীরের প্রতি অনেক সচেতন এ অভিনেতা।
৭. বিখ্যাত পরিবারে জন্ম আমিরের : পূর্বপুরুষ আবুল কালাম আজাদের মতো আমিরও পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। এ অভিনেতার পূর্বপুরুষ সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদকে স্মরণ করে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। তার নাম অনুসারে নিজের ছেলের নাম আজাদ রাও রেখেছেন আমির।
৮. খুঁতখুঁতে আমির : প্রথম সিনেমা কেয়ামাত সে কেয়ামাত-এ তাক দিয়েই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আমির। কিন্তু তার পরবর্তী সিনেমা ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য সময় লেগেছিল দুই বছর। সেকারণে সিনেমা নির্বাচনে বেশ সচেতন হয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ অভিনীত ডার ও স্বদেশ এবং সালমান খানের হাম আপকে হ্যায় কোন এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল আমিরের। কিন্তু তিনি সেগুলোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
৯. মজারু আমির : সহ শিল্পীদের সঙ্গে মজা করার ব্যাপারটি আমিরের নতুন নয়। ইস্ক সিনেমায় অভিনয়ের সময় তার মজার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে সিনেমার সেট থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা।
অবশ্য পরের দিন ফিরে এসেছিলেন। যখন সেটে আসলেন দেখলেন গেটে দুটি টেডি বেয়ার এবং দুঃখিত লেখা। কিন্তু পরবর্তীতে জুহি জানতে পারেন সেগুলোও প্রোডাকশনের ছিল। তারপর বেশ কিছুদিন আমিরের সঙ্গে কথা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। ছয় বছর পর আবার একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তারা।