বিমান ও ট্রেন চলাচল ব্যাহত কুয়াশায় জন্য
শীতের সকালে কুয়াশার জেরে বিপর্যস্ত বিমান ও ট্রেন চলাচল। দৃশ্যমানতা কম থাকায় উড়তে দেরি করল বেশ কিছু বিমান। ব্যাহত হল হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল।ঘন কুয়াশার জেরে শনিবার সকালে প্রায় তিন ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকল কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান চলাচল। ক্যাট ২ বি প্রযুক্তি ব্যবহারের পর থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমানতায় অবতরণ করা যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই দৃশ্যমানতা নেমে যায় ৫০ মিটারে। ফলে, একেবারে বন্ধ হয়ে যায় বিমানের ওঠা-নামা।
শীতের সকালে কুয়াশার জেরে বিপর্যস্ত বিমান ও ট্রেন চলাচল। দৃশ্যমানতা কম থাকায় উড়তে দেরি করল বেশ কিছু বিমান। ব্যাহত হল হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল।
ঘন কুয়াশার জেরে শনিবার সকালে প্রায় তিন ঘন্টার জন্য বন্ধ থাকল কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান চলাচল। ক্যাট ২ বি প্রযুক্তি ব্যবহারের পর থেকে সর্বনিম্ন ৩০০ থেকে ৩৫০ মিটার পর্যন্ত দৃশ্যমানতায় অবতরণ করা যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকালে ওই দৃশ্যমানতা নেমে যায় ৫০ মিটারে। ফলে, একেবারে বন্ধ হয়ে যায় বিমানের ওঠা-নামা।
আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার মধ্য রাত থেকেই হাল্কা কুয়াশা জমতে থাকে বিমানবন্দর সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে দৃশ্যমানতা ৩০০ মিটারের নিচে নামতে থাকে। ক্রমেই তা পৌঁছে যায় ৫০ মিটারে। প্রায় এক ঘণ্টা পর দৃশ্যমানতা বাড়তে থাকলে, অবশেষে সকাল সাড়ে ৮টার কিছু আগে তা ফের ৩০০ মিটারর উপরে উঠে যায়। চালু হয় বিমান চলাচল। সূত্রের খবর, কুয়াশার জেরে এ দিন সকালে এয়ার ইন্ডিয়া, জেট, ইন্ডিগো-সহ বেশ কয়েকট্যি সংস্থার তিরিশটিরও বেশি বিমান সময়ে উড়তে পারেনি। এই বিপত্তির প্রভাব পড়ে সারা দিনের উড়ানের সময়সূচির উপর।
অনেক বিমানবন্দরেই ৩০০ মিটারের মতো কম দৃশ্যমানতায় অবতরণের জন্য লাগানো রয়েছে ক্যাট ৩ বি। ৫০ মিটার দৃশ্যমানতা থাকলেও ওই প্রযুক্তির সাহায্যে অনায়াসেই বিমান অবতরণ করোনা যায়। কলকাতা বিমানবন্দরেও ক্যাট ৩ বি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কলকাতায় ক্যাট ৩ বি সক্রিয় হয়ে গেলে কুয়াশার জেরে উড়ান চলাচলে এই বিপত্তি অনেকটাই এড়ানো যাবে। কমবে যাত্রীদেরও সমস্যাও।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক রবি মহাপাত্র জানিয়েছেন, কুয়াশার জেরে হাওড়া স্টেশনে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেন ঢুকতেই গড়ে প্রায় চার ঘণ্টা করে দেরি করেছে। হাওড়া-অমৃতসর ডাউন এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘন্টা পরে হাওড়া স্টেশনে পৌছয়। ছাড়তে দেরি হয়েছে আপ দুন ও আপ রাজধানী এক্সপ্রেসও। আপ পূর্বা এক্সপ্রেস সকালের পরিবর্তে সন্ধ্যায় ছাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। দেরি হয়েছে শিয়ালদহ শাখায় রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়তেও।
দক্ষিণ-পূর্বে রেলে কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়নি বলে জানান ওই শাখার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারীক সঞ্জয় ঘোষ। তিনি জানান, সকালের একটি ডাউন ও একটি আপ পাঁশকুড়া লোকাল বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে ছেড়েছে জনশতাব্দী, ইস্পাত ও ফলকনামা এক্সপ্রেস।