ইন্দোনেশিয়ায় কাদা ও মাটির ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ায় কাদা ও মাটির ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২। এখনও নিখোঁজ বহু।বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার জাভায় পর পর দু’টো ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গোটা একটা গ্রাম। মধ্য জাভার বানজারনেগারা জেলার জেমব্লাঙ্গ গ্রামে প্রবল বৃষ্টির ফলে কাদা-মাটির ওই ধসে বাড়ি-ঘর চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু গ্রামবাসী। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি ধসের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে শতাধিক বাড়ি।.......
ইন্দোনেশিয়ায় কাদা ও মাটির ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩২। এখনও নিখোঁজ বহু।বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার জাভায় পর পর দু’টো ধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে গোটা একটা গ্রাম। মধ্য জাভার বানজারনেগারা জেলার জেমব্লাঙ্গ গ্রামে প্রবল বৃষ্টির ফলে কাদা-মাটির ওই ধসে বাড়ি-ঘর চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু গ্রামবাসী। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’টি ধসের ফলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে শতাধিক বাড়ি।
এর পর তড়িঘড়ি পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। উদ্ধারে নেমেছেন কয়েকশো উদ্ধারকর্মী। আজ তাঁরা বেলচা ও বুলডোজারের সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও কিছু গ্রামবাসীর দেহ উদ্ধার করেছেন। তবে বহু জায়গায় যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধারকারীরা হাত দিয়েই মাটি সরিয়ে তাতে চাপা পড়ে থাকা দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। মাটি তোলার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা।
পাহাড়ে ঘেরা ওই বিশাল উপত্যকা অঞ্চলে কাদা মাটির স্তর বিপজ্জনক ভাবে আলগা হয়ে রয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। ওই অঞ্চলে ফের ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই সতর্কতা অবলম্বন করেই কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। উদ্ধারকাজে সুবিধার জন্য জেমব্লাঙ্গ গ্রাম থেকে গ্রামবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩২ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আরও অন্তত ৭৬ জন কাদা মাটির তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন বলে উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা।
এ দিন এক কৃষিজীবী যুবক বলেন, “হঠাৎ দেখি কাদা-মাটির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গোটা গ্রাম। আমার চোখের সামনেই আমার আত্মীয়-পরিজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা প্রায় ৬ মিটার পুরু কাদার নীচে তলিয়ে গেলেন।”